ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার দায় ইসির নয় : সিইসি

ঢাকা দুই সিটির উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার দায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের পরিবেশ তৈরি করে। তারা ভোটার আনে না। তাই আজ দুই সিটির নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি যে কম, এর দায় ইসির না। দায় প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোরই।’

এ সময় ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার পেছনে দুটো কারণের কথা উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘একটি কারণ হলো, এ নির্বাচনের মেয়াদ অল্প দিনের। ফলে ভোটারদের আগ্রহ কম। আবার এখানে সব দল অংশ নেয়নি। এতেও উপস্থিতি কম হয়েছে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র নির্বাচনের আয়োজক। সবাই নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ও দুই সিটিতে নবগঠিত ৩৬ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হচ্ছে। সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

আনিসুল হকের মৃত্যুর পর উত্তর সিটির মেয়র পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন– আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ শাফিন আহমেদ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) শাহীন খান (বাঘ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুর রহিম (টেবিল ঘড়ি)।

ঢাকা উত্তর সিটিতে যুক্ত হওয়া ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৮টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১২৫ জন ও সংরক্ষিত ছয়টি ওয়ার্ডে ২৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচিত মেয়র এক বছরের কিছু বেশি সময় দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। কাউন্সিলর পদে সাধারণ নির্বাচন হলেও তাদের মেয়াদও হবে মেয়র পদের সমান।

এদিকে দুই সিটির ভোটের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি মোবাইল টিম ও ১৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। এ ছাড়া র‌্যাবের ২৭ টিম ও বিজিবির ২৫ প্লাটুন সদস্য রয়েছে ভোটের নিরাপত্তায়। জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের এই আনুষ্ঠানিকতায় দুই সিটিতে ভোটার প্রায় ৩৫ লাখ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment